চট্টগ্রামের হাজারি গলিকেন্দ্রিক চলছে বৈধ-অবৈধ স্বর্ণবারের জমজমাট বাণিজ্য। ফেনীতে পুলিশের লুট করা ২০টি স্বর্ণবারের মালিক গোপালকান্তিও হাজারি গলির ব্যবসায়ী। সব বৈধ বলে দাবি তার। তবে পুলিশ বলছে, নানা কৌশলে অবাধে স্বর্ণবার আনছে সংঘবদ্ধ চক্র। ফেনীতে ২০টি স্বর্ণবার লুটের ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপালকান্তি দাশ। এতোগুলো স্বর্ণের বার নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন তিনি সেই প্রশ্ন ওঠে। একই সাথে এসব বারের বৈধতার বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে। চট্টগ্রামে হাজারি গলিতে এই ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে ২ কর্মচারী ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
কর্মচারীদের দাবি, ভাঙ্গানোর জন্য স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। মাঝপথে তাকে ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। স্বর্ণবারগুলো বৈধ বলে দাবি গোপাল কান্তি দাশের। হাজারি গলিতে অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসা বন্ধে অভিযান হয়েছে অনেকে। তবে এখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শ্রমিকদের আনা স্বর্ণের বারগুলোই এখানে বেচাকেনা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, যে সকল লোক ইতিপূর্বে আমাদের আসামি হয়েছে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে বৈধভাবে এসেছে ৪৩ হাজার ৩৬৯টি স্বর্ণবার। অবৈধভাবে আনা ২০ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৫ টি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।