পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সন্ত্রাসীরা মা-মেয়েকে অবরুদ্ধ করে ঘড় ভেঙ্গে বশতবাড়ী দখল করেন। পরে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (০৫ আগষ্ট) উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ।
স্থানীয়রা জানান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নিরোদ দত্ত হাওলাদারের ছেলে বিষ্ণপদ হ্ওালাদার এর বাড়ীতে একই এলাকার সুব্রত হালদার এর নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন বহিরাগত লোক নিয়ে হামলা করে। এ সময় বিষ্ণুপদ হালদার এর বসত ঘরে তার স্ত্রী দক্ষিণ চরণী পত্তাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা রানী হালদার ও তার মেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণা হালদার কে ঘরে অবরুদ্ধ করে বসতঘর ভাংচুর করে তাদের দখলীয় জমিতে ঘর ও তার কাটা দিয়ে স্থাপনা তৈরী করে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী স্বর্ণা ৯৯৯ এ ফোন করলে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে বিষ্ণপদ এর স্ত্রী সবিতা রানী হালদার জানান, আমার স্বামী
বাড়ীতে না থাকায় আমি ও আমার মেয়ে ঘরে ছিলাম। সকালে সুব্রত হালদার, শংকর শিয়ালী, শিশির হালদার, আমগীর, রনপতি হালদার সহ ৩০/৩৫ জন লোক এসে আমাকে ও আমার মেয়েকে অবরুদ্ধ করে ঘর ভাংচুর করে ঘরের মালামাল চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলে। তখন আমরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশ সেখান থেকে চলে যাওয়ার
পর হামলাকারীরা আবারও আমাদের দখলকৃত জায়গায় ঘর তোলে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ৯৯৯-এর ফোন পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে মা-মেয়েকে উদ্ধার করি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।