নওগাঁর ধামইরহাটে এক কিশোরীকে অপহরণের ১১দিন পর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। অপহরণের অভিযোগে ঘটনার মূল নায়ককে আটক করেছে থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের অন্তর্গত কিট্রলী পূর্বপাড়া নামকস্থান থেকে এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের অন্তর্গত দেবীপুর গ্রামের ফারুর হোসেনের অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৪) গত ৩০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বাড়ীর পার্শে পুকুরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়।
অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ীতে ওই কিশোরী না ফেয়ার তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করেন। ডায়েরীর প্রেক্ষিতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাজাহান আলম তদন্তকালে জানতে পারেন দেবীপুর গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল হাসান রকি (২০) মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে জোর পূর্বক আটকিয়ে রেখেছে।
গত বুধবার রাত ১২টার দিকে মান্দা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মেয়েটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মূল আসামী রাকিবুল হাসান রকিকে আটক করে।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মমিন বলেন,মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনে ৭জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সদর হাসপাতালে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।