দেবীদ্বারে ৪টি চোরাই গরু ও চোর সিন্ডিকেট প্রধান সহ ২ গরু চোরকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নবাবপুর (কোটনা) ও ঘোসঘর গ্রামে।
গত সোমবার দিবাগত রাতে সুবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নজরুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে একটি গরু চুরির ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার দেবীদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) আব্দুল বাতেন একদল পুলিশ নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নবাবপুর (কোটনা) গ্রাম থেকে মৃত; তৈয়ব আলীর ছেলে গরুচোর সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুল মান্নান (৬০)কে আটক করেন।
তার স্বীকারোক্তিতে গরুচোর সিন্ডিকেট’র অপর সদস্য সুবিল ইউনিয়নের সুবিল গ্রামের বন্দে আলীর ছেলে আবু মিয়া সাকিব (২০)কে আটক করেন।
এসময় দুই গরু চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে কোটনা ও ঘোষঘর গ্রাম সহ আশ-পাশের গ্রামে চোরাই গরু বিক্রি করার সত্যতা স্বীকার করলে ইউপি মেম্বার মোঃ নজরুল ইসলামের গরুসহ ৪টি গরু উদ্ধার করেন।
বুধবার বিকেলে ৪নং বিচারিক আদালতে দুই অভিযুক্ত সাকিব ও মান্নানকে হাজির করার পর তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি প্রদান করলে গরু চুরির সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে।
আদালতের বিচারক শারমিন রীমা ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্ধি রেকর্ডপূর্বক আসামীদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ও ৮নং ওার্ড মেম্বার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মৃত; তৈয়ব আলীর ছেলে গরুচোর সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুল মান্নান (৬০)’র বাড়ি নরসিংদী জেলায়। সে দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এ গ্রামেই দির্ঘদিন অবস্থান করেন।
গত কয়েক বছর পূর্বে পাশ^বর্তী ঘোষঘর গ্রামে বাড়ি নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাস করাকালে শ^শুর বাড়ির স্বজনসহ একটি গরু চোর সিন্ডিকেট তৈরী করে এ এলাকায় গরু চুরি ও বিক্রি করে আসছেন।
এলাকার সবাই তাদের সন্দেহের চোখে দেখলেও প্রমানের অভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি আরো জানান গত দেড় মাসে শুধু মাত্র ৮নং ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১৮টি গরু চুরি হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে আমার গোয়ালঘর থেকে একটি গরু চুরি হলে থানায় মামলা করি।
এব্যপারে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা আদলত প্রাঙ্গন থেকে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) আব্দুল বাতেন জানান, গরু চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৪ গরু উদ্ধার ও দুই গরুচোরকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
মামলা তদন্তাধিন, তবে চুরি যাওয়া অন্যান্য গরু উদ্ধার ও চোর সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতার অবিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।