আবুধাবির উইকেটটা যেন ব্যাটসম্যানের শত্রু হয়ে উঠেছিল। ১৩১ রানের পুঁজি নিয়েও তাই শেষ ওভার পর্যন্ত লড়তে পারলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না বিরাট কোহলির দলের।অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনের হাফসেঞ্চুরিতে চাপ সরিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৬ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে তারা আইপিএল থেকে বিদায় করে দিয়েছে কোহলির ব্যাঙ্গালুরুকে।প্রথম এলিমিনেটর জেতায় হায়দরাবাদের লড়াই এখন কোয়ালিফায়ার ম্যাচ হারা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। হায়দরাবাদ-দিল্লি দ্বিতীয় এলিমিটরে যে দল জিতবে, তারা ফাইনালে মোকাবেলা করবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩২ রানের। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার গোস্বামীকে (০) হারালেও ডেভিড ওয়ার্নার আর মনিশ পান্ডের ব্যাটে স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিল হায়দরাবাদ। ১ উইকেটে তারা তুলে ৪৩ রান।তবে ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারিতে ওয়ার্নার (১৭ বলে ১৭) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরই ছন্দ হারায় হায়দরাবাদ। রান তুলতে পারছিল না, হারাচ্ছিল উইকেটও। ১১.৫ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৬৭ রান ছিল দলটির।
মাথার ওপর রানের চাপ ক্রমশও বাড়ছিল। যে কোনো কিছু হতে পারতো। কিন্তু অভিজ্ঞ হাতে সে চাপ দারুণভাবে সামলে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। রানের জন্য তাড়াহুড়ো করেননি, সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।পঞ্চম উইকেটে জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ৪৭ বলে ৬৫ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি গড়েই বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছেন উইলিয়ামসন। ৪৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন কিউই এই ব্যাটসম্যান। ২০ বলে ২৪ রানে সঙ্গে ছিলেন হোল্ডার।
এর আগে ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়িয়ে ঘুরিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলাররা। ফলে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করেও ৭ উইকেটে ১৩১ রানের বেশি যেতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ফর্মে থাকা দেবদূত পাডিক্কেলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি কেউই। ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি ৬ আর পাডিক্কেল করেন মাত্র ১ রান।
এরপর অবশ্য কিছুটা লড়াই করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তবে ৩০ বলে ৩২ রান করে তিনিও ফিরলে উইকেট পতন আর থামেনি ব্যাঙ্গালুরুর। একটা প্রান্ত ধরে যা লড়াই চালিয়েছেন চার নম্বরে নামা এবি ডি ভিলিয়ার্স।১৮তম ওভারে এসে শেষতক ডি ভিলিয়ার্স বোল্ড হন নটরাজের বলে। ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করা প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান ফেরার পর লড়াকু পুঁজিটাও পাওয়া হয়নি ব্যাঙ্গালুরুর।হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। ৩৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান নটরাজ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।