মোমিনুল-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
অধিনায়ক মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। তাদের ২’শ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে স্বাগতিকরা। ইতোমধ্যে সফরকারীদের ছুড়ে দেয়া ২৬৫ রানকে টপকে লিড নিয়েছে মোমিনুলরা। জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামলিয়ে এখন পর্যন্ত বড় লিডের পথে হাটছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৭০ রান। ক্রিজে দলপতি মোমিনুল হক ১১৯ ও মুশফিকুর রহিম ১১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। যেখানে লিড দাঁড়িয়েছে ১০৫ রানে।
গতকালের ৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে আজ সোমবার ব্যাট করতে নেমে বেশ সতর্কভাবেই ব্যাট চালিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ও ক্যারিয়ারের ৯ নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন মোমিনুল হক। অপরদিকে, থেমে থাকেননি মুশফিকুর রহিমও। তৃতীয় দিনে ক্রিজে নেমেই ওয়ানডে স্টাইলে চালিয়ে গেছেন ব্যাট, ক্যারিয়ারে যোগ করেন আরও একটি শতকের ইনিংস।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবু এই টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ ৬ টেস্টের মধ্যে ৫টিতেই ইনিংস পরাজয় দেখা টাইগারদের যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিই পারে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে।
সেই আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াইয়ে বেশ ভালোই করছে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাইফ ও তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান ডানহাতি সাইফ। পরের ওভারে তামিমের ব্যাট থেকেও আসে দুই চার। মাত্র ৩ ওভারেই ১৮ রান করে ফেলে বাংলাদেশ।
কিন্তু চতুর্থ ওভারের শেষ বলে হালকা বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট এগিয়ে দেয়ার ভুল করে বসেন সাইফ। ফলে তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার হাতে। সমাপ্তি ঘটে সাইফের ১২ বলে ৮ রানের ইনিংসের।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল। দুজন মিলে ৪ ওভার খেলে যোগ করেন ৭ রান। পরে দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ ব্যাট করেন এ দুজন। পাল্লা দিয়েই নিজেদের রান বাড়াচ্ছিলেন শান্ত ও তামিম। মনে হচ্ছিল, দুজনই তুলে নেবেন ফিফটি।
কিন্তু দলীয় ৯৬ রানের মাথায় অফস্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। সমাপ্তি ঘটে তার ৮৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসের, একইসঙ্গে ভাঙে শান্তর সঙ্গে ১৫৯ বলে ৭৮ রানের জুটি। তামিম না পারলেও বিরতির এক ওভার আগে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ১০৮টি বল, হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি। পরে বিরতির ঠিক আগের ওভারে মারেন আরও একটি বাউন্ডারি।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে শান্ত গড়েন ৭৬ রানের জুটি। কিন্তু ৫০তম ওভারে এসে বোকার মতো আউট হয়ে বসেন শান্ত। অভিষিক্ত তিশুমার বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গড়া শান্তর ৭১ রানের ইনিংসটি থামে তাতেই।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।