যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে মাঠের ভিতরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ, মহম্মদ আজহারউদ্দিনরা এমনটাই চাইছেন। রবিবার যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের বল গড়ানোর পর থেকেই দুই দলের ক্রিকেটাররা মেজাজ হারাতে থাকেন। গোটা ম্যাচ জুড়ে চলে স্লেজিং, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। খেলার শেষে সীমা ছাড়ায় সব। বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা মাঠের ভিতরে ঢুকে পড়েন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। খেলা শেষের পরের মুহূর্তের ভিডিয়ো ফুটেজ ভাল করে খতিয়ে দেখে আইসিসি পাঁচ জন ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে। এই শাস্তির জেরে চার থেকে ১০ ম্যাচ নির্বাসিত হতে পারেন দোষী ক্রিকেটাররা।
ভারতীয় যুব ক্রিকেটারদের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ আজহার একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই বলব আমি। এই জুনিয়র ক্রিকেটারদের শিক্ষিত করার জন্য সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও আমি জানতে চাই। ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হয়। নিয়ম মেনে চলতে হয়। আগেই ওদের শেখানো উচিত ছিল। এখন তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’
আজহারের কথার সুর শোনা গেল কপিলের গলাতেও। বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলছেন, ‘‘আমি চাই বোর্ড দোষী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। ক্রিকেট মানেই প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করা নয়। অনেকগুলো কারণের জন্যই যুব ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বিসিসিআই।’’
আগ্রাসনের পক্ষে কপিল। কিন্তু তিনি নিয়ন্ত্রণহীন আগ্রাসনের পক্ষে নয়। কপিল বলছেন, “আগ্রাসনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। মাঠের ভিতরে আগ্রাসন দেখাতেই পারে ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই। অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করা কখনওই উচিত নয়। মাঠের ভিতরে যুব ক্রিকেটারদের এ রকম অশোভন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’’ একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার যুব ক্রিকেটারদের সমালোচনা করলেও বিসিসিআই অবশ্য এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।