আগামী ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বুনিয়াদী এ ফরম্যাটে অপ্রতিরোধ্য দলগুলোর একটি ভারত। ঘরের মাঠে দলটি আর দুর্দমনীয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক এই ফরমেটেই। তবুও প্রত্যয় ভালো ক্রিকেট উপহার দেয়ার, লক্ষ্য সেশন বাই সেশন জয়। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ভাবনায় তাই নিজেদের শক্তিমত্তা ও সামর্থ্য। স্বাগতিক দলের দুর্বলতা নিয়ে তাই ভাবনা নেই মুমিনুল বাহিনীর।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন জানান, প্রত্যেক সেশনে ভালো করাই তাদের লক্ষ্য। বোলাররা ভালো করলে ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপকে সামলানো সম্ভব হবে বলেই মনে করেন টাইগার ব্যাটসম্যান। মিঠুন বলেন, ‘এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয় যে, নামার সঙ্গে সঙ্গেই জেতার ভাবনা রাখব। প্রত্যেক সেশন জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের প্রথম দুই ঘণ্টা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পঞ্চম দিনের শেষ দুই ঘণ্টাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেকটা সেশন যদি আমরা জিততে পারি বা যত বেশি সেশন আমরা জিততে পারব, সম্ভাবনা তত বাড়বে।’
ভারতের দুর্বলতা আর নিজেদের সক্ষমতা প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘ওদের দুর্বলতা খোঁজার চেয়ে আমরা নিজেদের শক্তিমত্তাতেই বেশি মনোযোগ রাখছি। ভারতের মাটিতে এসে পৃথিবীর কোনও দলই সুবিধা করতে পারেনি। তাই চেষ্টা করছি নিজেরা কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ওদের দুর্বলতা খুঁজতে গেলে আমরা আমাদের পরিকল্পনা থেকে সরে যাব।’ তবে ভারতের বোলিং বিভাগকেও হেলাফেলার সুযোগ নেই। লঙ্গার ভার্শনে ভারতের বোলিং যে কোনও দলকেই ভোগাতে পারে। তাইতো ভারতের বোলিং বিভাগকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না মিঠুনরা।
তিনি বলেন, ‘কোনও কিছুই সহজ হবে না। ভালো করতে হলে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ওদের পাঁচ বোলারের কাউকেই সহজভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। পাঁচ বোলারই ভালো, বিশ্বমানের। নির্দিষ্ট দুই-একজনকে নিয়ে ভাববো বিষয়টা এমন না। যদি ভালো করতে হয় তাহলে সবাইকেই গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করতে হবে।’ অন্যদিকে, ভারতের শক্তিশালী ও লম্বা ব্যাটিং লাইনআপই বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে বিরাট কোহলিদের মোকাবেলা করাটাও সহজ হয়ে উঠতে পারে, প্রত্যাশা মিঠুনের।
তিনি বলেন, ‘আউট হতে কিন্তু একটা বলই লাগে। বিশ্বের যে কোনও ব্যাটসম্যান যে কোনও সময় আউট হতে পারেন। আমাদের বোলিং ইউনিট শৃঙ্খলা বজায় রেখে বল করে সেই চাপ সৃষ্টি করতে পারলে অবশ্যই সবকিছু সম্ভব।’ আপাতত সেই সম্ভাবনার প্রতি আশা রেখেই ১৪ তারিখের দিকে তাকিয়ে আছেন টাইগাররা। সঙ্গে কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।