প্রথম ইনিংস শেষে হয়তো কল্পনাতেও আসেনি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। আগে ব্যাট করে কেবল ৯১ করেও শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিয়েছে দুই রানে। টিম টাইগ্রেস জিতে নিয়েছে সোনার পদকও। রোববার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লঙ্কানদের হাসিয়ে সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনার হাসিতে মেতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ নারী ক্রিকেট দল। চলতি এসএ গেমসে বাংলাদেশের ১১তম স্বর্ণ পদক যেটি।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লে বোলাররা আশা ছাড়েননি। প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে তারা। ৪ রানে প্রথম আঘাত হানার পর ৩০ রানেই তুলে নেয় লঙ্কানদের ৪ উইকেট।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেলেও বলের সঙ্গে তাল রেখে রান তুলতে থাকে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে বেগ দেন লঙ্কান অধিনায়ক হর্ষিতা মাধবী ও লিহিনি অপ্সরা। অধিনায়ক সর্বোচ্চ ৩২ ও অপ্সরা করেন ২৫ রান। শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৭ রান। হাতে ৩ উইকেট। তবে জাহানারা আলমের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে সেই লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। চার রান নিলেও ওই ওভারে ২টি উইকেট হারায় তারা। শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান মোধিতা রানাতুঙ্গা। বাংলাদেশ জয় পায় ২ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই মনের মতো হয়নি বাংলাদেশের। চতুর্থ ওভারে দলের রান যখন ১৬, মুরশিদা খাতুন আউট হয়ে যান। ২০ রানের জুটিতে সামনে চলার ইঙ্গিত দেন আয়শা রহমান ও সানজিদা ইসলাম।
দলীয় ৩৬ রানের মাথায় যেন মড়ক লাগে। স্কোরবোর্ডে কোনরকম হেরফের না হলেও তখন ৪টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বল থেকে সপ্তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত আউট হন তিন ব্যাটার। ঝড়ে আম ঝরার মতো অবস্থায় শুধু স্থির ছিলেন নিগার সুলতানা। অপরাজিত ২৯ রান করে তিনিই শেষ পর্যন্ত দলকে একশ’র কাছাকাছি নিয়ে যান।
নিগার ছাড়া ডাবল ফিগারে যেতে পারেন কেবল মুরশিদা (১৪), সানজিদা (১৫) ও ফাহিমা খাতুন (১৫)। দুজন ফেরেন হিসাবের খাতা খোলার আগেই। অন্য দুজনের ব্যক্তিগত স্কোর সমান ২ রান করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে উমেশা থিমাশিনী ৮ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেটে। লঙ্কান বাকি চার বোলারের প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।