জয়পুরহাটে অর্ধেক দামে সবজি বিক্রি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটে অর্ধেক দামে সবজি বিক্রি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

জয়পুরহাটের পুরানাপৈল বাজারের রেন্টির মোড়ে প্রতিসপ্তাহে অর্ধেক দামে সবজি বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদর উপজেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা সদস্য রবিউল ইসলামের আয়োজনে প্রতি শনিবার এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি বাজার মূল্যের তুলনায় কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।  


আয়োজক রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারদর সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই তিনি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি সংগ্রহ করে কম দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো উপকৃত হয়।  


প্রতি শুক্রবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকায় এই উদ্যোগের প্রচার চালানো হয়, যাতে সাধারণ মানুষ আগেভাগেই জানতে পারেন। ফলে শনিবার সকাল থেকেই পুরানাপৈল বাজারের রেন্টির মোড়ে সবজি কিনতে মানুষের ভিড় জমে যায়।  


স্থানীয় কয়েকজন ক্রেতা জানান, বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অনেক বেশি না হলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রতিদিনের কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। এই বাজারে অর্ধেক দামে সবজি কিনতে পারায় তারা অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন।  


এই কার্যক্রমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও যুক্ত রয়েছেন, যারা সবজি সংগ্রহ, ওজন করা ও বিক্রির কাজে সহায়তা করছেন। ফলে পুরো কার্যক্রম সহজভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রেতারাও দ্রুত সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন।  


রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারেন। তবে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।  


স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের উদ্যোগ সম্প্রসারিত হলে এবং সরকারি সহযোগিতা পাওয়া গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা কিছুটা হলেও সহজ হবে।  


বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হলেও এই উদ্যোগ তাদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।