মতিউর পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৩০শে জুন ২০২৪ ০৮:১০ অপরাহ্ন
মতিউর পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দুদকের

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


রোববার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ টিঠি পাঠানো হয়।


দুদক সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ করে ঢাকা, নরসিংদী ও মুলাদির সাব রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।


গত ৪ জুন মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক।


দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করার পর তারা কাজ শুরু করেছে।


এদিকে গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।


এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।


সর্বশেষ মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।


এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।


প্রশ্ন ওঠে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এতো টাকা দিয়ে ছাগল ও গরু কিনতে পারেন।