টাইগারদের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করতে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট অবশ্য ওইদিন সকালেই পা রেখেছেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বিসিবি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। শুরুর সময় ছিল সকাল সাড়ে ১০টা। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের সঙ্গে দুজনই নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হলেন। ততক্ষণে সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত বৃহদাকার কক্ষ। দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম থেকেই প্রতিনিধিরা বহুকাঙ্খিত কোচের মুখ থেকে দেশের ক্রিকেটে নিয়ে আগামির পরিকল্পনা শুনতে হাজির হয়েছেন। আধিক্য এতটাই বেশি কেউ কেউ দাঁড়িয়েও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন যাকে বলে।
আর ঠিক এই বিষয়টিই বিষ্মিত করেছে লাল সবুজের ক্রিকেটের এই প্রধান শিক্ষককে। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে এত সাংবাদিক তিনি যে দেখেননি! তাতে বিস্ময় ছিল তার অবয়বেও। তবে সেই বিষ্ময়ে মুখের হাসি উবে যায়নি। সংবাদ মাধ্যমের করা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন স্মিত হেসে। এমনকি জীবনে এই প্রথম এত সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছেন সেই কথাটিও বলেছেন চওড়া হাসিতে। শুধু আজকের এই সংবাদ সম্মেলনেই কেন? গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লম্বা ফ্লাইটে ঢাকায় নামার পরে সংবাদ মাধ্যমের যে সংখ্যাটি দেখেছেন সেই বিস্ময় আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করা সম্পর্কে ডমিঙ্গো বলেন, ‘২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম, অবশ্যই অনেক আগের কথা। সত্যি বলতে ক্রিকেট নিয়ে এদেশের মানুষের আগ্রহ এতটাই প্রবল যে আমাকে এটি ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো প্রেসকনফারেন্সে আপনি সর্বোচ্চ ৮-৯ জন প্রতিবেদক দেখবেন। আমি আমার জীবনে এত প্রতিবেদক দেখিনি। গতকাল বিমানবন্দরে প্রায় ১শত প্রতিবেদক ছিল। পৃথিবীর এই অংশের এই বিষয়টি আমাকে আকর্ষণ করে।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুটা হয়েছিল অবশ্য ডমিঙ্গোর সেই মুগ্ধতার প্রেজেন্টেশন নিয়ে, যাতে বুঁদ হয়েছিল গোটা বিসিবি ইন্টারভিউ প্যানেল। কেমন ছিল সেটা? কী যাদু করেছিলেন? না কোনো যাদু টাদু করেননি ৪৪ বছর বয়সী এই প্রোটিয়া কোচ। বরং বিসিবিকে যা শুনিয়েছিলেন তার সবই ছিল এদেশের ক্রিকেটের নিয়ে আগামির পরিকল্পনা, যাতে মিশ্রণ ছিল লাল সবুজের ক্রিকেটের অনাগত দিনের অপার সম্ভাবনা। ‘এটা খুবই মজার যে সবাই আমাকে প্রেজেন্টেশন নিয়ে প্রশ্ন করছে। কারণ আমি ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে কাজ করেছি, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৯ এবং আন্তর্জাতিক। আমি জানি কীভাবে পদ্ধতি কাজ করে। সত্যি বলতে আমি কোচিংয়ের পদ্ধতির ব্যাপারে খুবই সচেতন। এবং আমি মনে করি এটা জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়েই করতে হবে। সত্যি বলতে প্রেজেন্টেশনটি ছিল কী করে জাতীয় দলের প্লেয়ারদের আরও উন্নতি করা যায় এবং একটি টেকশই উন্নয়নের পথে দলকে নিয়ে যাওয়া যায়।’ দিনের শুরুতে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পাওয়াদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ডমিঙ্গো। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে ডমিঙ্গোর অধ্যায়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।