সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য কমে আসা নিয়ে চিন্তিত খোদ আইসিসিও। দেখা গেছে বেশিরভাগ পাঁচদিনের ম্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে তিন-চারদিনের মধ্যে। তেমনই এক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে চলতি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্টেও। যেখানে ম্যাচটি পঞ্চম দিনে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণই। স্কোরকার্ড জানান দিচ্ছে, ম্যাচে এখনও বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলামের অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের নবম উইকেট জুটির পরেও ১৪৮ রান পেছনে টাইগাররা। ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৪৬ রানেই ৮ উইকেট হারানোর পর, সৈকত-তাইজুলের কল্যাণে দিন শেষে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান।
এখনও সময় বাকি পুরো তিন দিন, ম্যাচে হতে পারে অনেক কিছুই। কিন্তু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সেই অনেক কিছুর অল্পই বাংলাদেশের পক্ষে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা এখনও পিছিয়ে থাকা ১৪৮ রান করতে পারলে, তবেই আফগানিস্তানের সামনে লিড নিতে পারবে বাংলাদেশ। যা কি-না শেষ দুই উইকেট নিয়ে বেশ কঠিনই। ফলে প্রথম ইনিংসে আফগানদের লিড নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর তেমনটা হলে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার আরও কঠিন চাপ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। আফগানিস্তানের চতুর্মুখী স্পিনের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জ আরও কয়েকগুণ কঠিন হবে টাইগারদের জন্য। যা জানা রয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও। তবে টাইগার অধিনায়কের বিশ্বাস, এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তার দল, এমনকি জয় পাওয়াও সম্ভব। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন আশার বাণীই শুনিয়েছেন সাকিব।
তার ভাষ্য, ‘ম্যাচ জেতা অবশ্যই সম্ভব। ক্রিকেটে তো অনেক এমন হয়েছে যে প্রথম ইনিংসে পেছনে থাকার পরেও ম্যাচ জিতেছে। এমন শত শত উদাহরণ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। তো আমরাও আশা করবো যেন এমন কিছুই হয়। তার জন্য অবশ্যই আমাদের যে দুই উইকেট আছে, এরা যদি ভালো ব্যাটিং করে আরেকটু এগিয়ে নিতে পারে এবং আমরা পরে ভালো বোলিং করতে পারি...তারপরও রান তাড়া করতে অবশ্যই কঠিন হবে, মোটেও সহজ হবে না এ উইকেটে ওদের স্পিনারদের বিপক্ষে। তবে বিশ্বাস আমাদের ভেতর আছে, যে (জয় পাওয়া) সম্ভব।’
ম্যাচের প্রথম দিন দেখা গিয়েছে খুব সাবলীলভাবেই বাংলাদেশের স্পিনারদের খেলেছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। এমনকি দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেও প্রায় ১৬ ওভারের জুটি গড়েছেন মোসাদ্দেক-তাইজুল। যা প্রমাণ করে উইকেট খুব একটা কঠিন ছিল না। তবু কেনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবি? এর উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক। স্বীকার করে নিয়েছেন, উইকেট তেমন কঠিন ছিল না। নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, ‘হয়তো আমরা ভালোভাবে এপ্লাই করতে পারিনি নিজেদের। বলবো না যে উইকেট আনপ্লেয়েবল ছিলো। কারণ শেষদিকে মোসাদ্দেক ও তাইজুল দেখিয়েছে যে এখানেও ভালো ব্যাটিং করা সম্ভব, লম্বা সময় থাকা সম্ভব। তাই আমরা আরেকটু ভালো ব্যাটিং করলে হয়তো রানটা আরেকটু বড় হতো।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।