ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৮ই মে ২০১৯ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হলেন যারা

স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধেই ইতিহাসের পাতায় লাল সবুজের দেশ। ডিএল মেথডে ওইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ডুবতে যাওয়ার মুহুর্তে এক বিধ্বংসী ইনিংস বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। টাইগার অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাওয়া লাগে বাংলাদেশের পালে। নিজে অপরাজিত থেকেই বাংলাদেশকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচে ২৪ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন তিনি। অপরদিকে সিরিজে অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজ সেরা হয়েছেন ওইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শাই হোপ।

এদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা হয়ের মিশনে আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় টিম বাংলাদেশ। ডাবলিনের ম্যালাহাইডের দ্য ভিলেজ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৫২ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন শাই হোপ। ২৩ তম ওভারের চতুর্থ বলে তাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। সীমানার কাছে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এছাড়া সুনীল আমব্রিস ৬৯ ও ড্যারেন ব্রাভো ৩ অপরাজিত থাকেন। এ দিন উইন্ডিজের ইনিংসের ২০.১ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় সোয়া পাঁচ ঘণ্টা। তখন তাদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ১৩১ রান। এরপর বৃষ্টি থামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ২৪ ওভারে। শিরোপা জয়ে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১০ রানের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাঠে ঝড় তুলেন দুই টাইগার ওপেনার। তামিমকে এক পাশে রেখে চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন সৌম্য সরকার। তামিম যখন ৭ রানে সৌম্যের রানের খাতায় তখন ১৮ বলে ৩৭ রান। এরপরই ঘটে ছন্দ পতন। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সারে হার মানেন তামিম। ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ১৩ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেননি সাব্বির সেই গ্যাব্রিয়েলের শিকার হন তিনি। শূন্য রানে ফিরে যান সাঁজ ঘরে। এরপর এক পাশ আগলে রেখে খেলে যান সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত অর্ধশতকে বাড়িয়ে দেন দলের আত্মবিশ্বাস। ৪১ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিক মিথুন প্রতিরোধ গড়তে চাইলেও ইনিংসা লম্বা করতে পাড়েননি দুজন। মুশফিক ২২ বলে ৩৬ ও মিথুন ১৪ বলে ১৭ করে ফেরেন। এরপরই যেন টর্নেডু ডেকে আনেন মোসাদ্দেক। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। সেই সঙ্গে তুলে নেন অর্ধশতক। ২৪ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সঙ্গে ম্যাচের ৭ বল বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

উইন্ডিজ: ১৫২/১ (২৪ ওভার) টার্গেট: ২১০ (২৪ ওভার ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে)
হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*
মিরাজ ৪-০-২২-১, মাশরাফি ৬-০-২৮-০, সাইফউদ্দিন ৫-০-২৮-০, মুস্তাফিজ ৫-০-৫০-০

বাংলাদেশ: ২১৩/৫ (২২.৫ ওভার) (ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য ২১০)
সৌম্য ৬৬, মোসাদ্দেক ৫২*, মুশফিক ৩৬, রিয়াদ ১৯*, তামিম ১৮
রেইফার ২৩/২, গ্যাব্রিয়েল ৩০/২

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।

প্রসঙ্গত, সপ্তমবারের মতো কোনো আসরের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। তবে শিরোপার মেলেনি আগে কখনওই। এবার এবার ম্যাশের হাতেই ধরা দিয়েছে ট্রফিটা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: শাই হোপ, সুনীল আমব্রিস, ড্যারেন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, আসলি নার্স, কেমার রোচ, রেমন্ড রেইফার, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

ইনিউজ ৭১/এম.আ