আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হতাশাজনক হারের পর আচমকা ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সেই সংবাদ সম্মেলনেই অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় বলেন তামিম।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে সংবাদ সম্মেলনে তামিম তার অবসরের ঘোষণা দেন। নিজের ঘরের মাঠেই ক্যারিয়ারের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন বলে জানান চট্টলার বিখ্যাত খান পরিবারের সন্তান। তামিম বলেন, ‘আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
একই সময় টি-টোয়েন্টি থেকে সরে আসা
৩৪ বছর বয়সী তামিম গত বছরের একই সময়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট ছিল তার খেলা শেষ টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ব্যাটার হিসেবে তামিম ৫ হাজার ১৩৪ রান করেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৭০টি টেস্ট খেলে ৩৮.৮৯ গড়ে তিনি করেছেন ৫ হাজার ১৩৪ রান। যেখানে ৩১টি ফিফটির সঙ্গে রয়েছে ১০টি সেঞ্চুরি। আর টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে করেছেন ১৭৫৮ রান।
খেলা শুরু
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয় তার। কিশোর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আইকনিক জয়ের পেছনে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই ম্যাচে তার ফিফটি বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছিল।
রেকর্ড
দেশের হয়ে একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান ৮ হাজার ৩১৩ এবং ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার পরে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২৪১টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে কেমন
ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে, তামিমের জয়ের হার মাশরাফি মর্তুজার চেয়ে সামান্য বেশি। তামিম অধিনায়ক হিসেবে ৩৭টি একদিনের ম্যাচের মধ্যে ২১টি জিতেছেন। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের সরাসরি যোগ্যতা নিশ্চিত করে ওডিআই সুপার লিগে বাংলাদেশকে তৃতীয় স্থান অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্বও করেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।