শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক মন্দা, এশিয়া কাপ অন্য কোথাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২১শে জুলাই ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক মন্দা, এশিয়া কাপ অন্য কোথাও

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নিজ দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। সংযুক্ত আরব আমিরাত বা অন্য কোনো দেশে আয়োজনের ব্যাপারেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।


এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) একটি সূত্র বুধবার (২০ জুলাই) জানায়, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে যখন বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তখন দেশে ছয় দলের এ বড় ইভেন্টটি আয়োজন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।


তবে নিজ দেশে আয়োজন করা সম্ভব না হলেও লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না। আগেই জানা গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় আয়োজন সম্ভব না হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্টেডিয়াম। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজ দেশের বদলে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে আয়োজন করেছিল। তবে শ্রীলঙ্কা আরব আমিরাতকেই একমাত্র বিকল্প ভেন্যু হিসেবে দেখছে না; তারা ভারতসহ অন্যান্য দেশকেও তাদের তালিকায় রাখছে।


এ বিষয়ে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিকল্প ভেন্যু নয়। ভারতের পাশাপাশি অন্য কোনো দেশেও এ টুর্নামেন্ট খেলা হতে পারে। কারণ এসিসি এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে প্রথমে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কথা বলতে হবে।


আগামী আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এশিয়া কাপ। মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এসিসি তাদের সংস্করণ নির্ধারণ করে থাকে। এবারের আসর আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে। এসিসি থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় ঘোষণা আসতে পারে।


এশিয়া কাপে পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দল ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়াও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি সহযোগী সদস্য দল অংশ নেবে।


এশিয়া কাপের সবশেষ চার আসরের তিনটিতেই স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দেশে বাংলাদেশকে ২ রানে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নেয় পাকিস্তান। ২০১৪ সালে পরের আসরে ফাইনালে খেলে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এবার চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। ফাইনালে তারা জয় পায় ৫ উইকেটে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপেও বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।