করোনায় গাজীপুরে প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
গাজীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার বন বিভাগের সাবেক সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান (৬৫) মারা গেছেন। তার বাড়ি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আদাবৈ এলাকায়। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একই দিন মারা গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের স্বজনরা জানায়, কিছুদিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা ও কাশিসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী এবং মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।গত ২০ জুন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন তারা। ২২ জুনের ফলাফলে তাদের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তারা হোম আইসোলেশনে ছিলেন। বিষয়টি অন্যদের কাছে প্রকাশ না করে গোপন রাখেন। একপর্যায়ে মতিউর রহমানের অবস্থার অবনতি হয় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরপর বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
প্রায় দু’বছর আগে তিনি বনবিভাগের ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনের এসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক) পদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকী জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি প্রশিক্ষিত টিমের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার আলহাজ ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন নাহীন (৪৪) করোনার উপসর্গ নিয়ে বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তার ভাই অ্যাডভোকেট বাহাদুর জানান, প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিসহ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে পাঁচদিন আগে তাকে ঢাকার ইস্টওয়েস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিাশ্চিত হতে সেখানে নমুনা দেয়া হয়। ফলাফল পাওয়ার আগেই বুধবার আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।