বিএনপি’র নেতৃত্বে ফ্যাসিজম বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান যুবদল সভাপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: শনিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮ অপরাহ্ন
বিএনপি’র নেতৃত্বে ফ্যাসিজম বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান যুবদল সভাপতির

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, "ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীজ রোপণ করেছিল বিএনপি এবং এই আন্দোলনকে পরিচর্যা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।" শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।


ব্র্যাকমোড় এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সভায় মুন্না বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে ছিল, যার কারণে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।” তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি হলেও তিনি কখনো স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আপোষ করেননি। একইভাবে, তারেক রহমানও অবৈধ সরকারের সঙ্গে আপোষ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা।”


মুন্না আরো বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানে শহীদ সংখ্যা বর্তমানে ১৪২৩। এর মধ্যে বিএনপির প্রায় ৪৬০ জন শহীদ হয়েছে। তাই ছাত্র-জনতার এই অভুত্থানে বিএনপির ভূমিকা স্বীকার করতে হবে। আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”


সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। তিনি বলেন, “বিগত দিনে যারা স্বৈরাচার হিসেবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা দেশ ছেড়ে পালায়নি। শেখ হাসিনার নিষ্ঠুরতা ও নির্যাতনের কারণে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এই দেশের মাটিতে তার আর কোনো স্থান হবে না।”


সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি তসলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম রিয়াদ এবং মো. বায়েজিদ।


মতবিনিময় সভায় অন্যান্য বক্তারা ঝালকাঠি জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রবিউল হাসান তুহিন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক সরদার সাফায়েত হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু। 


সভাটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনা, যা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির আন্দোলনের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গভীর চর্চার সূচনা করেছে।