শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ডে সাড়ে ৪ মাস পর একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৯শে জুলাই ২০২২ ১১:১৮ অপরাহ্ন
শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ডে সাড়ে ৪ মাস পর একজনের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি ভোলা জেলার সদর উপজেলায়।


মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


এর আগে, ৫ মার্চ গৌরনদী উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এসএম মনিরুজ্জামান।


তিনি বলেন, ১৪ জুলাই আরটিপিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া রিপোর্টে নিশ্চিত করেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৬ জুলাই শেবাচিম হাসপাতালের করোনায় ওয়ার্ডে ভর্তি হন। করোনায় কারণে নিউমোনিয়া হয়ে তার হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার মৃত্যু হয়।


দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর এই ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত হওয়া ৪৪০ রোগীর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে।


এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমেছে।


মঙ্গলবার পিসিআর ল্যাবে ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.০৬ শতাংশ। এছাড়া সোমবার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৮.৮৬ শতাংশ। এর আগে গত রোববার শনাক্তের হার ছিল ৫.৫৫ শতাংশ, শনিবার ১১.৪৭ শতাংশ, শুক্রবার ২৮.৮১ শতাংশ এবং গত বৃহস্পতিবার ২৫.৫৩ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়।


মেডিক্যালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল ৪ জন রোগী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ জন রোগী। একই সময়ে নতুন করে একজন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ৭ হাজার ৭৫ জন রোগী ভর্তি হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যায় ৬ হাজার ২২৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ১ হাজার ৪৭৭ জনের। এর মধ্যে ৪৪০ জনের করোনা পজিটিভ ছিল।