করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিহাদ হায়দার , ক্রীড়া প্রতিবেদক ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: বুধবার ৩রা নভেম্বর ২০২১ ০৯:০৭ অপরাহ্ন
করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫৬

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮০ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৫৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৩৮ জন। মৃত সাতজনের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী রয়েছেন।বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩৩টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৮টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি চার লাখ নয় হাজার ১৫৮টি।   


এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক নয় শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন। মৃত সাত জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চারজন এবং বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।      


এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮৬ হাজার ২০২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ৫৫৬ জন।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।