বরিশালে একদিনে উপসর্গসহ মৃত্যু ২০, শনাক্ত ১৮৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার ২৪শে জুলাই ২০২১ ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
বরিশালে একদিনে উপসর্গসহ মৃত্যু ২০, শনাক্ত ১৮৩

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘন্টায় উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।



একই সময়ে বরিশাল বিভাগে নতুন করে ১৮৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯শ ০৫ জনে।



গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় ২জন, পটুয়াখালীতে ১জন, পিরোজপুরে ২জন এবং ঝালকাঠিতে ২জনসহ মোট ৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে।



যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪শ ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।



আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১০৯ জন নিয়ে মোট ১১ হাজার ৯শ ৫৩জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৮ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৪শ ৪২ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৪৯ জনসহ মোট ২ হাজার ৮শ ২৬ জন,



পিরোজপুর জেলায় নতুন ৯ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮শ ৫৫ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৪ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৩শ ৮৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৪ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ ৩২ জন।


 

এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তের জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।



যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭শ ১০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২শ ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭শ ১০ জনের মধ্যে ৪৬ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।


 

ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২শ ৭৭ জন চিকিৎসাধীন।



এদের মধ্যে ১শ ১ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১শ ৭৬ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১শ ৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫২.৬৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার। 



বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৯শ ৯৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫শ ২০ জন।