ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তেল রপ্তানির কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চায় সৌদি আরব। এ জন্য দেশে তেল রিফাইনারি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। রোববার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক কেবল জনশক্তি রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তেল রিফাইনারি স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা সম্ভব। এটি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান অভিযোগ করেন, অতীতে বড় প্রকল্পগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেগুলো নানা কারণে আটকে থাকত। ব্যক্তিগত স্বার্থে এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করা হতো বলে তার ধারণা।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সৌদি আরবের কোম্পানি একুয়াপাওয়ার যখন বাংলাদেশে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল, তখন তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, সৌদি কোম্পানি আরামকো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের মতো বিনিয়োগকারীদের সঠিকভাবে সুযোগ না দেওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের ভুল নীতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অতীতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার যতটা প্রচার হয়েছে, বাস্তবে তা ছিল না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক পরিবেশ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সৌদি আরবের তেল রিফাইনারি নির্মাণের প্রস্তাব এবং বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।