
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৯

ব্যবসা সংকট ও অনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে শ্রমিকদের বেতনভাতা, মজুরি এবং অফিসের ব্যয় বহন না করতে পেরে গত সাড়ে ৬ মাসে ৪৬টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৪৬টি কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় মাসে ৪৬টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। তাতে ২৫ হাজার ৪৫৩ শ্রমিক ও কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। আর ব্যবসায়ীরা ব্যবসা হারিয়েছেন।’
তাদের মতে, চলতি বছরের রমজান মাসের সময় ২০-২৫টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। এরপর ঈদুল আজহার পরের মাসেই বন্ধ হয়েছে ১৫ থেকে ২০টি কারখানা। সব মিলে ৪৬টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। নতুন করে আরও বেশকিছু গার্মেন্টস বন্ধের পথে। এসব কারখানায় ছাঁটাই চলছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে কারখানা বন্ধের ক্ষেত্রে নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। আগে পুরো কারখানা বন্ধ করলেও এখন দেখা যাচ্ছে ১৫ লাইনের ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে দুই বা তিন লাইন বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে দুই থেকে তিনশ শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
বন্ধ হওয়া গার্মেন্টসগুলোর মধ্যে রয়েছে—মালিবাগের লুমেন ড্রেস লিমিটেড ও লুফা ফ্যাশন লিমিটেড, বাড্ডার সুমন ফ্যাশন গার্মেন্টস লি, শান্তিনগরের অ্যাপোচ গার্মেন্টস লিমিটেড,আশুলিয়ার মোভিভো অ্যাপারেলস লিমিটেড, ও ফোর এস পার্ক স্টাইল লিমিটেড, রামপুরার জেনস ফ্যাশন লিমিটেড, মধ্য বাড্ডার স্টার গার্মেন্টস প্রাইভেট লি, টঙ্গীর জারা ডেনিম লিমিটেড, ফলটেক্স কম্পোজিট, এহসান সোয়েটার ও মার্ক মুড, বনানীর তিতাস গার্মেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, গাজীপুরের ওসান ট্রাউন ও ওয়াসিফ নিটওয়্যার, জিরানীর ঝুমা ফ্যাশন, বোর্ড বাজারের স্পেস গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রি এবং উত্তর বাড্ডার এভার ফ্যাশন লিমিটেড ইত্যাদি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব