প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১২:২৬
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে, যা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) খিলক্ষেত, বনশ্রী, রামপুরা, মালিবাগ ও কারওয়ানবাজারে ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতারা এখন মুরগির প্রতি বেশি ঝোঁক দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কম থাকায় ভোক্তাদের পক্ষে মুরগি কেনা সহজ হয়ে উঠেছে। একই সময়ে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই মাংস কিনতে সংকোচ বোধ করছেন।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ২৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে সাধারণ ক্রেতারা বেশ বিরক্ত। মুরগির দাম তুলনামূলক কম থাকায় অনেকেই গরু-মাংসের বদলে মুরগিতেই ভরসা করছেন। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি ও দেশি মুরগি ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম প্রতি পিস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
মাছের বাজারে কিছু মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও রুই, কাতল, চিংড়ি ও টেংরা মাছের দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী। রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, বোয়াল, পোয়া ও আইড় মাছের দামও যথাক্রমে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। দেশি কৈ ও শিং মাছের দামও অনেক বেশি রয়েছে।
চাল ও ডিমের বাজারেও পরিবর্তন দেখা গেছে। এক মাস আগের তুলনায় ডিমের দাম ডজন প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। চালের দামের ক্ষেত্রে সামান্য কমতি লক্ষ্য করা গেছে। নতুন বোরো ধানের চাল বাজারে আসায় মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকার আশপাশে নেমে এসেছে। তবে চালের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দাম ভিন্নতা রয়ে গেছে।
তেল, পেঁয়াজ, আলু ও রসুনের দামেও সামান্য স্থিরতা রয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৭০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দাম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যায়ে রয়েছে। সবজির দামও সাম্প্রতিক সপ্তাহের মতোই রয়েছে, পটোল, টমেটো, ঢেঁড়স, ঝিঙে ও লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ও পেঁপে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দাম বাড়া-কমার পেছনে তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পাইকারি বাজার থেকে দাম কমে কিনতে পারলে খুচরা বাজারেও দাম কম থাকে। বর্তমানে মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকার কারণ হিসেবে এ কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। ক্রেতাদের জন্য মুরগি এখন একমাত্র সাশ্রয়ী মাংস বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।