ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ভারতীয় এনএক্স-২০০ এথেনা বন্দুক, একটি ভারতীয় পিস্তল অ্যাসেম্বলি ও ৩৩ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় সিসা গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি হিরো ইগনেটর ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারের গোপন তথ্য পাওয়ার পর কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হকের নেতৃত্বে বিশেষ টহলদল মোতায়েন করা হয়। মধ্যরাতে সীমান্ত পিলার-৯৮৫ এর সাব পিলার ৩-এর নিকটে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সঙ্গে থাকা মালামাল ফেলে দ্রুত ভারতের দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেলের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এসব অস্ত্র বাংলাদেশে কেন আনা হচ্ছিল বা কারা এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সীমান্তে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার রোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ধরনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে অস্ত্র পাচার বন্ধ করা কঠিন হবে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও অভিযান চালিয়ে অস্ত্র পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিজিবির এই সাফল্য সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনও সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। আগামী দিনগুলোতে সীমান্তে অস্ত্র পাচার রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।