দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত টিমটি তার অবৈধ সম্পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থপাচার এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে। উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে টেলিযোগাযোগ নজরদারির ক্ষমতার অপব্যবহার, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড ফাঁস এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট, প্রভাবশালী এই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনীতে চাকরি করাকালীন সময়েও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত ছিলেন। তিনি গুম ও খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ফোনে আড়িপাতা এবং গোপন তথ্য ফাঁস করে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থসিদ্ধি করতেন।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে। অভিযোগ রয়েছে, তার পরিবার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ স্থানান্তর করেছে।
এছাড়া, গণহত্যার অভিযোগে জিয়াউল আহসানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাদেরকে আগামীকাল (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। বর্তমানে তারা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।