আগামী ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পোশাক খাতের টেক্সওয়ার্ল্ড প্রদর্শনী। এর আয়োজন করছে জার্মানি ভিত্তিক সবচেয়ে বড় মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট। প্রদর্শনীটি আগামী ২২ জুলাই শুরু হয়ে চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।
এই বছর বাংলাদেশ থেকে ৬টি ফেব্রিক, গার্মেন্টস এবং হোম টেক্সটাইল প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এই প্রদর্শনীতে। এগুলো হলো-আশা টেক্সটাইল, এইচ আই অ্যাপারেল, ম্যাম বাংলাদেশ, রেজা ফ্যাশন, সিকোটেক্স ফ্যাব্রিক্স এবং ফারসিইং নিট কম্পোজিট। মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ৩ দিনের এই প্রদর্শনীতে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন প্রদর্শক ক্রেতা, ডিজাইনার এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য নিয়ে আসবে তাদের তৈরি টেক্সটাইল, ট্রিমস, একসেসরিজ, ম্যানুফ্যাকচারিং। এছাড়া প্রাইভেট লেবেলের সাথে তৈরি পোশাকও প্রদর্শন করবে তারা। গেলো বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য প্রথম সারির ক্রেতা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এবছরের রপ্তানি বাণিজ্যেও বাংলাদেশের জন্য তারাই প্রধান ক্রেতা। এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এই ধরনের প্রদর্শনীতে ৮৩৭ জন প্রদর্শক এসেছে ১৯টি দেশ থেকে। ৫ হাজারেরও বেশি দর্শক এসেছে প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখতে। এবছর আরো বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আয়োজক সংস্থার ধারণা। ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রদর্শনীতে থাকছে ফ্যাশন সাসটেইন, যার সূত্রপাত জার্মানির বার্লিনে। এর মূল উদ্দেশ্য তৈরি পোশাক এবং ফ্যাব্রিকের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে মানুষকে শেখানো। ফ্যাশনসাসটেইন অনুষ্ঠিত হবে সোমবার জুলাই ২২।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাশনের দুনিয়াতে একটি যুগান্তকারী বিপ্লবের ধারণা নিয়ে আসছে ফ্যাশনসাসটেইন, যা টেক্সটাইল শিল্পের প্রক্রিয়া এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া, সহযোগিতা, নতুন প্রযুক্তি, এবং প্রয়োগ উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি নতুন সম্ভাবনা এনে দিবে। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী টেক্সওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালের জুন মাসে, অ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস এবং ইন্টার টেক্সটাইল সাংহাই অ্যাপারেল ফ্যাব্রিক্স অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর। এছাড়া আফ্রিকান সোর্সিং অ্যান্ড ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।