বেশি দিন অপেক্ষা নয় , অচিরেই জনগণ আমাদের ফিরিয়ে আনবেন - আওয়ামীলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০৫ অপরাহ্ন
বেশি দিন অপেক্ষা নয় , অচিরেই জনগণ আমাদের ফিরিয়ে আনবেন - আওয়ামীলীগ

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তারা ছাত্রজনতার আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, "যারা আন্দোলনে অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো অপকর্ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।"


মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এবং সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে যারা অপরাধ করেছে, তাদেরকে সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, "অথরিটি যেন সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি না দেয়।" এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যেভাবে খন্দকার মোশতাক হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন, সেভাবেই বর্তমানে কিছু ব্যক্তি একই পন্থা অবলম্বন করছেন।


আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "জনগণ দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে এবং হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিচারের মুখোমুখি করবে।" তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, খুব শীঘ্রই মুক্তিকামী জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।


এছাড়া, তাদের বিবৃতিতে জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের তদন্তের জন্য শেখ হাসিনা তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠন করেছিলেন, যা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, তদন্ত বন্ধ করার ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।


অবশ্য, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে বলেছেন, "যৌক্তিকভাবে সংগঠিত আন্দোলনে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা পরিকল্পিত ছিল।" আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে যে, ইউনূস এবং তার সহযোগীরা আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।


বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়েছে, "হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি প্রদান করে বিনা বিচারে ক্ষমা করে দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা জন্য অগ্রহণযোগ্য।" আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য জনমনে নানারকম আলোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এর প্রভাব বিস্তার করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।