দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। আমদানি বন্ধ থাকায় দেশী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বন্দরের ব্যবসায়িকরা।
বুধবার (০৩ মে) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর পেঁয়াজ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এবং দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজ দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজি। দাম বৃদ্ধিতে বেচাকেনা ও কমে বলছেন খুচরা ব্যাবসায়ীকরা।
জানাগেছে, দেশের কৃষকদের কথা চিন্তা করে গত ১৫ই মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (এলসি) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর এই সুযোগে দেশের কৃষকরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে সব কিছুর দামই বেড়েই চলেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর থেকে দেশের কৃষকরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে। ঈদের আগে পেঁয়াজ কিনছি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। এখন সেই পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি। সরকারের পক্ষ থেকে যদি এখনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট পোহাতে হবে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। যার ফলে দেশের কৃষকরা দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৮০০ টাকা দরে কিনতাম। এখন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আমরা খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।