যুদ্ধের প্রভাবে আকাশ ছোঁয়ার পথে এলপিজির আন্তর্জাতিক বাজার। যা ৮ বছরের মধ্যে উঠেছে সর্বোচ্চ উচ্চতায়। ফলে রান্নার চুলা জ্বালানোই দায় হয়ে যাচ্ছে ব্যবহারকারীদের। এরই মধ্যে মাসের ব্যবধানে ১২ কেজি সিলিন্ডারে দেড়শ টাকা দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি।
দেশে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ৯৮ শতাংশই মেটাতে হয় আমদানি করে। বাকি সামান্য পরিমাণ আসে গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া কনডেনসেটকে পরিশোধন করে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠা-নামার সঙ্গে সমানতালে বদলায় এই পণ্যের চরিত্রও।
সবশেষ প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দর মাসের ব্যবধানে দেড়শ টাকা বাড়িয়ে প্রায় চৌদ্দশ টাকায় নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এদেশে পণ্যটির দাম নির্ধারণ হয় সৌদি আরামকো ঘোষিত দরের ওপর ভিত্তি করে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রোপেন ও বিউটেনের টনপ্রতি দাম ছিল ৪৩০ ও ৪২০ ডলার। কিন্তু তিন বছরের ব্যবধানে সেই দাম ওঠে ৭৪০ ও ৭১০ ডলারে। ফেব্রুয়ারিতে তা পৌছায় ৮৯৫ ও ৯২০ ডলারে। অর্থাৎ কেবল মাসের ব্যবধানেই দর বাড়ে ২১ ও ৩০ শতাংশ।
পণ্যটির দর বৃদ্ধির পেছনে বড় কারণ যুদ্ধের প্রভাব। তথ্য উপাত্ত বলছে, করোনা শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে দর নেমে যায় আড়াইশ ডলারের নিচে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাড়তে থাকে চাহিদা একই সঙ্গে দামও। কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন সঙ্কটে ব্যাহত হয় সরবরাহ। এমনকি চাহিদা এবং উৎপাদনেও আসে বড় পরিবর্তন। যা আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে মাসে এক লাখ ৩০ হাজার টনের মতো চাহিদা রয়েছে এলপি গ্যাসের। যা ৩৫ শতাংশ প্রোপেন ও ৬৫ শতাংশ বিউটেনের মিশ্রণ আকারে বিক্রি হয় দেশীয় বাজারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।