প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহকালে চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার তরিকুল শিবলী (৪০) অচেতন হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকর্মীরা জানান, তরিকুল শিবলী লাইভে ছিলেন এবং নির্বাচনী পরিবেশ কভার করছিলেন। হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়লে উপস্থিতরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই সহকর্মীরা উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সঠিক মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপরিহার্য। চিকিৎসকরা বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদ পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সহকর্মীরা বলেন, তরিকুল শিবলী পেশাদারিত্বের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যু সংবাদমাধ্যম সম্প্রদায়ে শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনী পরিবেশে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তরিকুল শিবলীর মৃত্যুর ঘটনা এই দিকটি আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাংবাদিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। ডাকসু নির্বাচনের সময় সংবাদ সংগ্রহের পরিবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।