প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫০
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে, তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশেষভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। সোমবার সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী আগে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন সম্পূর্ণ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন, এবং কোনো বাহ্যিক চাপ বা হস্তক্ষেপ থাকছে না। এটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ।
বছরের পর বছর পরে অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনের আগে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে। সেনাবাহিনী এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারকে নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে। তারা আশা করছে, শিক্ষার্থীরা এ ধরনের গুজবের প্রভাব থেকে সতর্ক থাকবেন।
সেনাবাহিনী নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, নির্বাচনে সকল প্রার্থী এবং ভোটারকে সুষ্ঠু ও ন্যায্য পরিবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বা বিভ্রান্তিতে প্রভাবিত না হন, তার জন্য প্রশাসনিক পর্যায়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচন কয়েক বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং এটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেনাবাহিনী আশা করছে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এবং ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনের জন্য উদাহরণ স্থাপন করবে।
সেনাবাহিনী আশা প্রকাশ করেছে, শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল ও বিচক্ষণভাবে ভোট প্রদান করবেন। তারা ভোট দেওয়ার সময় নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর এই ঘোষণা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি জাগিয়েছে। তারা আশা করছেন, ভোট দেওয়ার সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না এবং নির্বাচনী পরিবেশে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।