প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেনেড সদৃশ চারটি বিস্ফোরকসহ ফয়সাল খান (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার সকালে র্যাব-১০ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিবির বাগিচা এলাকার ফ্যান্টাসি টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাচারিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলোর প্রতিটি ধাতব লিভার, সেফটি পিন ও রিং যুক্ত ছিল। কালো রঙের প্রতিটি বস্তুর দৈর্ঘ্য ৫ ইঞ্চি, ব্যাস ৯ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৩১০ গ্রাম। র্যাবের ধারণা, এগুলো গ্রেনেড সদৃশ বোমা জাতীয় বস্তু।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল খান স্বীকার করেছেন যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা সৃষ্টি, জনগণের জানমাল ক্ষতি এবং জনমনে ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকগুলো নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন।
অভিযান চলাকালে আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয় এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সহায়তায় উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা বলছেন, এগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং সামান্য অবহেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, ফয়সাল খানের সহযোগীদের শনাক্তে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্যের উৎস এবং সম্ভাব্য টার্গেট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও র্যাবের দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এলাকায় এখনো নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ মোতাবেক ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, সময়মতো অভিযান পরিচালনা না করলে রাজধানীতে ভয়াবহ নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারত। ঘটনার বিস্তারিত জানাতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।