প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৯
১৫ আগস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের বেশ কয়েকজন তারকা। ফ্যাসিবাদী শাসনকে সাংস্কৃতিকভাবে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে ছাত্র-জনতা তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনাকে ঘিরে ঢাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতা কালচারাল ফ্যাসিস্টদের প্রতীকী জুতাপেটার কর্মসূচি পালন করে। সেখানে একটি ব্যানারে বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন তারকা, সাংবাদিক, লেখক ও শিল্পীদের ছবি টাঙানো হয় এবং তাদের প্রতীকীভাবে জুতাপেটা করা হয়।
ব্যানারে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা শাকিব খান, সঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী জয়া আহসান, শমি কায়সার, শম্পা রেজা, মুমতাহিনা টয়া, নাজিফা তুষি, সুনেরাহ বিনতে কামাল, অরুণা বিশ্বাসসহ আরও অনেকে। এছাড়া সাংবাদিক শাহেদ আলম, আব্দুন নূর তুষার, জ. ই মামুন, লেখক সাদাত হোসাইন, সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দ, ব্যান্ডশিল্পী লিংকন ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
ছাত্র-জনতার অভিযোগ, এসব তারকা ১৫ আগস্ট উপলক্ষে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসনের প্রতি নীরব সমর্থন জানিয়েছেন। কেউ কেউ ছবি পোস্ট করেছেন, আবার অনেকে ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশন লিখে আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
তাদের এই অবস্থানকে সাংস্কৃতিকভাবে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, যারা জুলাই বিপ্লব চলাকালে বিপ্লবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তারাই আবার শাসকগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন দেখানোয় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
এতে সামাজিক মাধ্যমে ছাত্র-জনতা ও বিপ্লবপন্থী গোষ্ঠীগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে। জুলাই রেভ্যুলুশনারি অ্যালায়েন্স নামক একটি সংগঠন ফেসবুক পোস্টে ওই তারকাদের উত্তরায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, উত্তরা এলাকায় এসব তারকার শুটিং করতে দেওয়া হবে না।
রাজধানীর উত্তরায় যেহেতু বহু শুটিং হাউস রয়েছে এবং দেশের নাটক নির্মাণের বড় অংশ সেখানেই হয়, তাই এই ঘোষণার প্রভাব বিনোদন অঙ্গনে ব্যাপক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতা বলছে, জনগণের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যারা ফ্যাসিস্ট শাসনের দোসর হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। ১৫ আগস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।