প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৮
কক্সবাজারের টেকনাফে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নৌকাসহ ১২ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার সাগরপথে।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে রয়েছে মো. আলি আহমদ (৩৯), মোহাম্মদ আমিন (৩৪), ফজল করিম (৫২), কেফায়েত উল্লাহ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৩), সাদ্দাম হোসেন (৪০), মো. রাসেল (২৩), মো. সোয়াইব (২২), আরিফ উল্লাহ (৩৫), মো. মোস্তাক (৩৫) এবং নুরুল আমিন (৪৫)। এদের মধ্যে একজনের নাম এখনও জানা যায়নি। তারা সবাই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
নৌকার মালিক সোলতান আহমেদ জানান, তার নৌকায় ১২ জেলে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সাগরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিলে তারা আবার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা নৌকাসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে এবং আমরা দ্রুত জেলেদের নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় জনগণ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। জেলেরা মূলত তাদের জীবিকার জন্য সাগরে মাছ শিকার করতে যান, যা এলাকায় অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা এই ধরনের অপহরণ স্থানীয় জেলেদের জন্য নতুন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। তারা আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও তার আশেপাশের এলাকাগুলি প্রায়শই সমুদ্রপথে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সংযোগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে নিরাপত্তার অভাব থাকলে স্থানীয়দের ওপর ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনার পর থেকে বিশেষ নজরদারি বাড়িয়েছে।