গাজীপুরে হামলার নেপথ্যে জাহাঙ্গীর? দোষীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , গাজীপুর
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০৭ অপরাহ্ন
গাজীপুরে হামলার নেপথ্যে জাহাঙ্গীর? দোষীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সর্বদলীয় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে এ সমাবেশে বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা এবং এতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা জড়িত।  


সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আলী নাসের খান বলেন, রক্তের বদলা রক্ত নয়, বরং ফ্যাসিস্ট সরকারকে নিষিদ্ধের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে আওয়ামী দোসররা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে হামলা চালিয়েছে এবং এ ঘটনার পেছনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের লোকজন রয়েছে। তারা বলেন, গাজীপুর থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তার ঘটবে।  


বক্তারা বলেন, আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়ি ভাঙচুরের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের হামলা করতে পারে না। হামলাকারীরা সরকারের মদদপুষ্ট দোসর। তারা আরও বলেন, ভারতের সহযোগিতায় কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, যা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।  


বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, হামলার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বারবার ফোন করেও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়নি। তারা বলেন, হামলার সঙ্গে প্রশাসনের কারও সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।  


সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী তৃণমূল মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, ছাত্র শিবির গাজীপুর মহানগর শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক হায়দার আলী, সদর থানা শিবির সভাপতি সোলায়মান কবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য আরাফাত হোসেন অনিক এবং বৈষম্যবিরোধী নেতা আব্দুল আল মাহিম।  


বক্তারা বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী রূপ প্রকাশ পেয়েছে। তারা দাবি করেন, সরকারদলীয় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং প্রশাসনের দোষী কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।  


বিক্ষোভ শেষে অংশগ্রহণকারীরা একটি মিছিল বের করে যা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল।