ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, যাকে সাধারণত নিক্সন চৌধুরী হিসেবে জানানো হয়, এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। মামলাগুলির তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুদক, যার নেতৃত্বে আছেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীন। এর আগে, ২৩ অক্টোবর আদালত নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
অভিযোগের সূত্র অনুযায়ী, ফরিদপুর-৪ আসনের তিনবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী প্রথমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে ৩৮ শতাংশ জমি কিনে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে তিনি নিজ এলাকায় বিপুল সুবিধা লাভ করেন এবং তার বিরুদ্ধে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগও উঠেছে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে যে, নিক্সন চৌধুরী আড়িয়াল খাঁ নদী এবং পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন। শুধু তাই নয়, আশপাশের জমির মালিকদের বাধ্য করে তাদের জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন এবং একে একে প্রায় ১১শ বিঘা জমি তার নিজের স্ত্রী, সন্তান ও ভাইয়ের নামে দলিল করিয়ে নেন।
এ নিয়ে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি দুদক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে, বিশেষত যখন এটি প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।