ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা সদরের মাতুর বাড়ির মোড় থেকে একটি মিছিল বের হলে, মিছিলের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বাতিলের দাবিতে মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করছিলেন। ২০ নভেম্বরের সম্মেলনটি বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এর বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিএনপির কিছু অংশ।
দুপুরে, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ড. সাইদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে বিএনপির একটি মিছিল চলছিল। মিছিলটি প্রতাপগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে, মুসা মার্কেটের সামনে কিছু ব্যক্তি মিছিলে ইট ছুঁড়তে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছোড়ার মধ্যে একপর্যায়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এ ঘটনায় ৪০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, যুবদল নেতা মুছা হায়দারসহ অরুণ মিয়া, ফুলমিয়া, দানু মিয়া, কেশপদ দাস প্রমুখ রয়েছেন।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, মিছিলে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বিএনপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম, কিন্তু বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।"
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রঞ্জন বর্মণ জানান, এখন পর্যন্ত ৩৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, "আজ দুপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে, কেউ এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।"
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘর্ষের বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।