টেকনাফে বাড়ির দরজা ভেঙে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ, অস্ত্রের ব্যবহার

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে একদল ভারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হঠাৎ নুরুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে তারা প্রথমে বাড়ির দিকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর বাড়ির চাল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দরজা ভেঙে নুরুল ইসলামকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় পাহাড়ের দিকে। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ঘরের সদস্যদের ওপর নির্মম মারধর চালায় এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

অপহৃতের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, “সন্ত্রাসীরা প্রথমে দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হলে ছাদ ভেঙে ঘরে נামতে থাকে। তাদের হাতে ছিল ভারী বিদেশি অস্ত্র। তারা জোর করে আমার বাবাকে টেনে নিয়ে যায়।” ঘটনাস্থলে উদ্ধার করা গুলির খোসা বিদেশি তৈরি অস্ত্রের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত অপহৃত নুরুল ইসলামকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

টেকনাফ ১৬ এপিবিএন-এর আওতাধীন লেদা ২৪ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাজু জানান, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রায় ৬১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে সক্রিয় কয়েকটি সশস্ত্র ডাকাত গ্রুপ অপহরণের সাথে জড়িত। অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।