
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২০

কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমিজমার বিরোধের জেরে মোতালেব মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমড়াকান্দি হাবির দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত মোতালেব গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামের মৃত সেকেন আলী মন্ডলের ছেলে। হামলাকারীর নাম মোঃ টিটু মন্ডল (৪৪), একই গ্রামের মোঃ হাসান মন্ডলের ছেলে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, প্রতিবেশী মাছেম মন্ডলের সঙ্গে মোতালেবের বড় ভাই মোহন মন্ডলের জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল।
ঘটনার সময় মোহন মন্ডলের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন মাছেম মন্ডলের ভাতিজা টিটু রাগে বাড়ি থেকে লোহার রড এনে মোহন মন্ডলকে মারতে উদ্যত হয়। এতে বাধা দিতে গিয়ে মোহন মন্ডলের ছোট ভাই মোতালেব রক্ষার চেষ্টা করলে টিটু তাকে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এই সময় মোতালেবের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত মোতালেবের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তার অবস্থাকে সংকটাপন্ন বলা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে। সার্ভেয়ার জালাল উদ্দিন জানান, কিছুক্ষণের ফাঁকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।

হামলাকারী টিটু বা তার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, জমিজমার বিরোধের কারণে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ওসি আরও জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা এই হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পুলিশের তৎপরতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।