প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১৩

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঐতিহাসিক যোগীর ঘোপায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেন, গোপালপুর সার্কেলের এএসপি ফৌজিয়া হাবিব খান এবং ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দীন। এছাড়া ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মিল্টন, স্থানীয় সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন জানান, গরিলা বিলের মাঝখানে অবস্থিত দ্বীপসম ঐতিহাসিক যোগীর ঘোপা সরকারি খাস জমি হওয়ায় এ জায়গাটিকে অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত করতে প্রশাসন কাজ করছে। অভিযানের সময় যাদের পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডে জড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আজ থেকে এখানে আর কোনো মাদকের আসর বসতে দেওয়া হবে না। নৌকায় করে কেউ যাতে গোপনে যোগীর ঘোপায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ঘাট মাঝিদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রতি বৃহস্পতিবার গরিলা বিলপাড়ে পুলিশি পাহারা বসানো হবে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সৌন্দর্যময় যোগীর ঘোপায় একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার তারা মাদকের হাট বসাত, যার কারণে এলাকায় চুরি ও অপরাধ বেড়ে যাচ্ছিল। এতে সাধারণ মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়ে।
মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় স্থানীয়রা পুলিশ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকলে এলাকাটি আবারও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পাবে এবং অপরাধীরা দমন হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যোগীর ঘোপা একটি ঐতিহাসিক ও পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান। এখানে মাদকের আসর চলতে থাকলে এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল।
অভিযানটি শুধু যোগীর ঘোপা নয় বরং পুরো অঞ্চলের মানুষকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করার একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বিত এই পদক্ষেপে এলাকার জনগণ নতুন করে আশা পেয়েছে।
এদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে শুধু অভিযান নয়, মাদক প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে যোগীর ঘোপাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।