সকালে ব্যাটালিয়ন সদরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়নের সেক্টর কমান্ডার মহি উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মানবপাচার নিয়ন্ত্রণে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভূমিকা অনন্য। তারা শুধু সীমান্ত নয়, সমাজ উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ২ বিজিবি-র ইতিহাস, সাফল্য ও আত্মত্যাগের কাহিনি প্রদর্শিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে ব্যাটালিয়নটির যাত্রা শুরু হয়। ৭৭ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে এই ইউনিটের ৩৪ জন বীর সেনানী জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের অবদান অম্লান।
১৯৯৯ সালে ২ বিজিবি অর্জন করে ‘বাংলাদেশ রাইফেলস স্ট্যান্ডার্ড পদক’। ২০১৫ সালে টেকনাফে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্যাটালিয়নটি সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকবিরোধী যুদ্ধে অসামান্য সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে।
গত এক বছরে (২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর) ২ বিজিবি ১৭৯ জন আসামি গ্রেপ্তার, ৫৭ লক্ষাধিক ইয়াবা, ৪.২০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২.০৮ কেজি স্বর্ণসহ ২১৮ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান জব্দ করেছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধার করেছে।
মানবিক কর্মকাণ্ডেও তারা পিছিয়ে নেই। এক বছরে ৪৪০ জনকে শীতবস্ত্র, ১০৯৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা এবং প্রায় এক হাজার প্রান্তিক মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে ব্যাটালিয়নটি।
অনুষ্ঠানে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “যতদিন উড়বে লাল-সবুজ পতাকা, ততদিন আমরা দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্তের দুর্ভেদ্য প্রাচীর। প্রয়োজনে মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত আমরা।”