প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৪
ঝালকাঠি শহরের বিকনা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পলাশ সূত্রধর নামের ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি বলে জানা গেছে। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে যান যা ঘটনাটিকে আরও স্পষ্ট করেছে।
নিহত পলাশ বরিশালের মুলাদী উপজেলার তেরোচড় গ্রামের সুধীর সূত্রধরের ছেলে। তিনি ফ্রেস টিস্যু কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে ঝালকাঠিতে কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দীপক সূত্রধরের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। নতুন সংসার শুরু করলেও মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
ঘটনার রাতে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পলাশের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং তার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে। এতে লেখা ছিল “এই জীবন খুবই কঠিন। আমি আমার ব্যর্থতার যন্ত্রণায় এই সিদ্ধান্ত নিলাম।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা জোরপূর্বক হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান।
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে নানান আলোচনা চলছে। তারা বলছেন, পলাশ খুবই চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন এবং সম্প্রতি তাকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে পলাশের পরিবার গভীর শোকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নতুন বিয়ের পর এত দ্রুত এ ধরনের ঘটনা তাদের হতবাক করে তুলেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা ধারণা করছেন।
স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। তারা বলছেন, সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ানো গেলে অনেক এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে কোনো প্রকার প্ররোচনা বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি না। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে সব তথ্য উঠে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।