প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৩
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া শ্রমিকলীগ নেতা নাজমুল হক ইমু অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে। শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকা থেকে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
নাজমুল হক ইমু আশুলিয়া থানার শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্য হিসেবে রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। এছাড়াও তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
গ্রেপ্তারের পূর্বে দীর্ঘ সময় যাবৎ গা ঢাকা দিয়ে থাকা ইমু, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হতাহতের একাধিক মামলার আসামী ছিলেন। তাকে আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা অর্থায়ন করে আসছিলেন বলে গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে।
নাজমুল হক ইমু ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দাবি করেন, গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া বিদেশে লুকিয়ে আছেন। তিনি বলেন, তাকে লন্ডন থেকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি না দিয়ে তাদের বিদেশে পুরস্কৃত করার কথাও উল্লেখ করেন। ভিডিওটি ১৫ আগস্টের এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ধারণ করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, ছাত্র-জনতা হত্যার মামলার এক আসামীকে র্যাব শুক্রবার রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। এরপর থেকে আইনানুগ কার্যক্রম চলছে।
নাজমুল হক ইমুর গ্রেপ্তারের পর আশুলিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুটা কমেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তারা দ্রুত বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
এ ঘটনায় আশুলিয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি আরও জোরদার হয়েছে। র্যাব ও পুলিশ মিলিতভাবে অপরাধ দমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।
নাজমুল হক ইমুর গ্রেপ্তারি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে মামলার বিচার প্রক্রিয়া ও অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আশুলিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।