প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৪
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহমুদুল হাসান শখের বশে শুরু করা আখ চাষাবাদে সফল হয়েছেন। আখ লাগানোর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও ইউটিউব ভিডিও দেখে নিজের বাড়ির উঠানে চারাগুলো রোপণ করেন তিনি। মাত্র ছয় মাসেই আখগুলো লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা তার জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে বেড়াতে গিয়ে নওগাঁ থেকে তিনি এক হাজার পিচ ফিলিপাইন জাতের আখের চারা সংগ্রহ করেন। বাড়ির উঠানের সামনের ফাঁকা জমিতে নিজ উদ্যোগে চারাগুলো রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন। তার মতে, আখ চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম এবং যত্ন সহজ হওয়ায় এটি একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে।
আখ চাষে রসায়নিক সার ব্যবহারের পরিমাণ কম হলেও পোকামাকড় নিধনের জন্য কিছু কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। এ পর্যন্ত চারাগুলোর জন্য তিনি আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেছেন। মাহমুদুল আশা করেন, আখ বিক্রয় থেকে খরচ বাদে প্রায় ৪০ হাজার টাকার লাভ হবে। এ ছাড়াও তিনি বাড়ির আশেপাশে আদা, ফুল, ফল এবং সবজি চাষ করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ফিলিপাইন জাতের কালো আখ তুলনামূলক কম খরচে চাষ করা যায় এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হতে পারে। আখে প্রচুর পরিমাণে রস থাকে যা চিবিয়ে খাওয়া হয় এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কৃষি বিভাগ চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
মাহমুদুল হাসানের এই উদ্যোগ অন্য চাষিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, আখ চাষে মজবুত চেষ্টা এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে আখের গাছগুলো অনেকটাই লম্বা হয়েছে এবং এক বছর পর এটি আরও বড় হবে বলে আশা করছেন তিনি।
শখের বশে শুরু হওয়া এই আখচাষায় সফলতা প্রমাণ করে, কৃষি কাজের প্রতি মনোযোগ ও সঠিক পরামর্শ পেলে একজন সাধারণ মানুষও কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। পাঁচবিবি অঞ্চলের অন্যান্য চাষিরাও এখন এই আখ চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।