খাগড়াছড়িতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’: সমাজ রচনায় লাখো কণ্ঠে ঐক্য শপথ

খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উপলক্ষে লাখো কণ্ঠে সমাজ গঠনের শপথ ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। জেলা শহরের পৌর টাউন হলের সম্মেলন কক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জেলার সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং দুর্নীতি, বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত সমাজ নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠানটি সারাদেশে ভার্চুয়ালি সম্প্রচার করা হয়, যেখানে কেন্দ্র থেকে যুক্ত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

খাগড়াছড়ির অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মঞ্জিলা ঝুমা, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক সুষ্মিতা খীসা এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ। আলোচনা পর্বে বক্তারা ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উদ্যোগকে মানবিক সমাজ নির্মাণের অনুপ্রেরণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বক্তারা বলেন, এই কর্মসূচি শুধু একটি শপথ নয়, বরং এটি একটি মানবিক, দায়িত্ববান ও সচেতন সমাজ গঠনের আন্দোলন। তারা আরও বলেন, নাগরিক দায়িত্ব, সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রসারে এ ধরনের উদ্যোগ সময়োপযোগী।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থনে’ আহত ছাত্র ও নারী প্রতিনিধিরাও, যা অনুষ্ঠানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। এই ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে তাদের উপস্থিতি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগায়।

শপথ ও আলোচনার পর পরিবেশিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা গান, আবৃত্তি ও নৃত্যের মাধ্যমে সমাজ সচেতনতামূলক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

আয়োজকদের মতে, এ আয়োজন খাগড়াছড়িবাসীর মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলেছে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তারা মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অনিবার্য।