প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:০
পিরোজপুর সদর উপজেলার বৈরামপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে রোকেয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রোকেয়া বেগম একা বসবাস করতেন এবং প্রতিদিন প্রতিবেশীরা তার খোঁজ নিতেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে পাশের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন তারা। তখনই তারা ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় রোকেয়া বেগমের নিথর দেহ দেখতে পান।
বৃদ্ধার স্বামী মুক্তার হাওলাদার বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে মহসিন হাওলাদার বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন এবং বড় ছেলে লিটন হাওলাদার একই এলাকায় থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার স্বামীর বাড়িতে থাকেন বলে জানা গেছে।
ছেলে লিটন হাওলাদার জানান, তাদের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার হুমকিও পেয়েছেন তারা। তবে এ ঘটনা কাদের দ্বারা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
ঘটনার পর পিরোজপুর সদর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে চূড়ান্ত মতামত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানানো যাবে।
এদিকে এই ঘটনার পর পুরো বৈরামপুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন।
পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্তে নেমেছে। ইতোমধ্যে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে এবং হত্যার পেছনে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, পারিবারিক শত্রুতা কিংবা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, তদন্ত কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলছে এবং খুব শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।