ওটিপি না দিলে পুলিশের নামে মামলা হুমকি! ভূরুঙ্গামারীতে প্রতারণার অভিনব কৌশল

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে ওটিপি চেয়ে প্রতারণার চেষ্টা চালিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপের একটি রাজনৈতিক গ্রুপ পরিচালনার অভিযোগ তুলে তিনি এক ব্যক্তির কাছে ওটিপি দাবি করেন। কিন্তু ওটিপি না দেওয়ায় উল্টো তাকে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন সেই প্রতারক।

ঘটনার শিকার লিয়াকত আলী চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইমান আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অজানা নম্বর থেকে তার হোয়াটসঅ্যাপে কল আসে। কলদাতা নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, লিয়াকত আলী একটি রাজনৈতিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পরিচালনা করছেন, যা সন্দেহজনক।

এ সময় ওই ব্যক্তি লিয়াকতের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ওটিপি চাইলে লিয়াকত তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক গ্রুপ চালাই না, আর ব্যক্তিগত ওটিপি অন্য কাউকে দেওয়া কখনোই নিরাপদ নয়।” তার এই অস্বীকৃতির পরপরই ফোনদাতা তাকে মামলা করার হুমকি দেন।

প্রতারণার এমন হুমকি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে লিয়াকত আলী ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি পুরো ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং অনুরোধ জানান যেন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, “ভুক্তভোগী থানায় জিডি করেছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনের আওতায় প্রতারকের পরিচয় শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের ওটিপি প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলছেন, অপরিচিত নম্বর থেকে আসা কোনো অনুরোধে ওটিপি শেয়ার করা ঠিক নয়, এটি প্রতারণার একটি মারাত্মক ফাঁদ।

এই ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত তথ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে, যেন তারা এমন প্রতারণার শিকার না হন।

অপরাধী যেই হোক না কেন, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা একটি গুরুতর অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততার সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা। এর মাধ্যমে সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা যাবে এবং মানুষ আরও সচেতন হবে।