প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৫
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি চা বাগান থেকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সোমবার সকালে উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানের একটি নির্জন স্থানে স্থানীয় লোকজন প্রথমে লাশটি দেখতে পান। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম হৃদয় মিয়া, যার আরেক নাম ইয়াছিন। তার পিতার নাম লিটন মিয়া এবং মাতার নাম হাসিনা বেগম। নিহত হৃদয় মিয়ার পরিবার শ্রীমঙ্গল শহরতলীর শাহীবাগ আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাদের মূল বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায়।
লাশ উদ্ধারের সময় হৃদয় মিয়ার হাত পেছন থেকে বাঁধা অবস্থায় ছিল এবং গলার চারপাশে দড়ির দাগ পাওয়া গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে হত্যার মোটিভ, সম্ভাব্য জড়িতদের পরিচয় এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অলক কান্তি গুন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার প্রকৃতি রহস্যজনক হওয়ায় আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই মৃত্যুর পেছনে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা, আর্থিক লেনদেন বা প্রেমঘটিত বিরোধ আছে কিনা, তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হৃদয় মিয়া কীভাবে এবং কখন কাকিয়াছড়া চা বাগানে গিয়ে পৌঁছেছিল, সে প্রশ্নও এখন তদন্তকারীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শান্তিপূর্ণ এই এলাকায় এমন একটি লোমহর্ষক ঘটনা খুবই আতঙ্কজনক। প্রশাসনের কাছে তারা দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।