প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৩৭
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই’। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টায় অনুষ্ঠিত একটি জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে অসংখ্য নির্যাতন সহ্য করেছে, তবে আগামী নির্বাচনে যেন নিরপেক্ষতা, সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়া এবং মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, সেটি বিএনপির দায়িত্ব।’
রুমিন ফারহানা তারেক রহমানের বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, ‘তারেক রহমান বারবার বলেন ষড়যন্ত্র থেমে না, তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর লড়াই চালাতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডনে বৈঠক হয়েছে, যেখানে আগামী রমজানের আগেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার বার্তা এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার গুম-খুন-হত্যা চালিয়েছে এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। বিএনপির বহু নেতাকর্মী জেল খেটেছেন, জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল, দেশের উন্নয়নে সবসময় কাজ করেছে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি যদি এমপি হই, তবে সরাইলের উন্নয়নে কাজ করব। রাস্তা-ঘাট সংস্কার করব, গ্যাসের ব্যবস্থা করব বিশেষ করে চুন্টা, পাকশিমুল ও অরুয়াইল এলাকায়। বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশে ঘুরে দেখেছি, কোথাও এমন খারাপ অবস্থা দেখিনি, তাই আপনাদের ভোট চাই উন্নয়নের জন্য।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান নান্নু, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহসভাপতি এ.বি.এম. মোমিনুল হক, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
সমাবেশে বক্তারা দলের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, দেশের মুক্তি ও উন্নয়নে বিএনপির নেতৃত্ব অপরিহার্য।
এই জনসমাবেশ বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়, যা বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মী দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এই প্রস্তুতি দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা ও প্রত্যাশার সৃষ্টিকারী বলে মনে করা হচ্ছে।